গার্হস্থ্য বর্জ্য জল চিকিত্সা সিস্টেম প্রক্রিয়া সরঞ্জাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট

স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভোগ্যপণ্য

পয়ঃনিষ্কাশন প্রক্রিয়ায়, আমাদের নিম্নলিখিত এজেন্টগুলি ব্যবহার করা উচিত:

(1) অক্সিডেন্ট: তরল ক্লোরিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইড বা হাইড্রোজেন পারক্সাইড,

(2) Defoaming এজেন্ট: পরিমাণ খুব কম;

(3) ফ্লোকুল্যান্ট: পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড বা অ্যানিওনিক এবং ক্যাটানিক পলিঅ্যাক্রিলামাইড, অ্যানিওনিক পাম বা ক্যাটানিক পাম নামেও পরিচিত,

(4) হ্রাসকারী এজেন্ট: লৌহঘটিত সালফেট হাইড্রেট এবং তাই;

(5) অ্যাসিড-বেস নিরপেক্ষকরণ: সালফিউরিক অ্যাসিড, কুইকলাইম, কস্টিক সোডা ইত্যাদি

(6) রাসায়নিক ফসফরাস অপসারণ এজেন্ট এবং অন্যান্য এজেন্ট।

শারীরিক পদ্ধতি: শারীরিক বা যান্ত্রিক ক্রিয়া দ্বারা বর্জ্য জলে অদ্রবণীয় স্থগিত কঠিন পদার্থ এবং তেল অপসারণ করুন; পরিস্রাবণ, বৃষ্টিপাত, কেন্দ্রাতিগ বিচ্ছেদ, ভাসমান ইত্যাদি।

রাসায়নিক পদ্ধতি: রাসায়নিক পদার্থ যোগ করা, রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে, বর্জ্য জলে দূষকদের রাসায়নিক বা ভৌত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে, যাতে এটি রাসায়নিক বা ভৌত অবস্থায় পরিবর্তিত হয় এবং তারপরে জল থেকে সরানো হয়; নিরপেক্ষকরণ, জারণ, হ্রাস, পচন, ফ্লোকুলেশন, রাসায়নিক বৃষ্টিপাত ইত্যাদি।

ভৌত রাসায়নিক পদ্ধতি: বর্জ্য জল বিশুদ্ধ করার জন্য ভৌত এবং রাসায়নিক ব্যাপক কর্মের ব্যবহার; স্ট্রিপিং, স্ট্রিপিং, শোষণ, নিষ্কাশন, আয়ন বিনিময়, ইলেক্ট্রোলাইসিস, ইলেক্ট্রোডায়ালাইসিস, বিপরীত ডায়ালাইসিস ইত্যাদি

জৈবিক পদ্ধতি: জীবাণু বিপাকের ব্যবহার, বর্জ্য জলে জৈব দূষণকারীর অক্সিডেশন এবং অবক্ষয় ক্ষতিকারক পদার্থে, যা জৈব রাসায়নিক চিকিত্সা পদ্ধতি নামেও পরিচিত, জৈব বর্জ্য জলের চিকিত্সার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি; সক্রিয় স্লাজ, জৈবিক ফিল্টার, জীবন্ত রোটারি টেবিল, জারণ পুকুর, অ্যানেরোবিক হজম ইত্যাদি।

তন্মধ্যে, বর্জ্য জলের জৈবিক চিকিত্সা পদ্ধতি এই পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে যে অণুজীবগুলি এনজাইমের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে জটিল জৈব পদার্থকে সরল পদার্থে এবং বিষাক্ত পদার্থকে অ-বিষাক্ত পদার্থে রূপান্তরিত করে। চিকিত্সা প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালনকারী অণুজীবের বিভিন্ন অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে, জৈবিক চিকিত্সাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ভাল গ্যাস (অক্সিজেন) জৈবিক চিকিত্সা এবং অ্যানেরোবিক (অক্সিজেন) জৈবিক চিকিত্সা। ভাল গ্যাস জৈবিক চিকিত্সা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে, ভাল গ্যাস ক্যাপিলারিয়ার ভূমিকা পালন করে। তাদের নিজস্ব জীবন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে -- অক্সিডেশন, হ্রাস, সংশ্লেষণ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, ব্যাকটেরিয়া শোষিত জৈব পদার্থের অংশকে সরল অজৈব পদার্থে (CO2, H2O, NO3-, PO43-, ইত্যাদি) জারিত করে যাতে বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যায় এবং কার্যকলাপ, এবং জৈব পদার্থের অন্যান্য অংশকে তাদের নিজস্ব বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে জীবের প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে রূপান্তর করে। অ্যানেরোবিক জৈবিক চিকিত্সা অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে অ্যানেরোবিক অণুজীবের ক্রিয়া দ্বারা সঞ্চালিত হয়। যখন অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া জৈব পদার্থের অবনতি ঘটায়, তখন তাদের অক্সিজেনের নিজস্ব উপাদানের চাহিদা বজায় রাখতে CO2, NO3-, PO43- ইত্যাদি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে হয়, তাই তাদের ক্ষয়কারী পণ্যগুলি হল CH4, H2S, NH3 ইত্যাদি। জৈবিক প্রক্রিয়া দ্বারা বর্জ্য জলের চিকিত্সা করার জন্য, বর্জ্য জলে দূষকগুলির জৈব অবনমনযোগ্যতা প্রথমে বিশ্লেষণ করা উচিত। প্রধানত তিনটি দিক রয়েছে: বায়োডিগ্রেডেবিলিটি, বায়োট্রিটমেন্ট কন্ডিশন এবং দূষণকারীর সীমাবদ্ধতা যা বর্জ্য জলে মাইক্রোবায়াল কার্যকলাপের উপর প্রতিরোধমূলক প্রভাব ফেলে। বায়োডিগ্রেডেবিলিটি বলতে বোঝায় যে, জীবের জীবন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে, দূষকদের রাসায়নিক কাঠামো পরিবর্তন করা যেতে পারে, এইভাবে দূষকদের রাসায়নিক এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা যায়। ভালো গ্যাসের জৈবিক চিকিৎসা বলতে মধ্যবর্তী বিপাকের মাধ্যমে অণুজীবের দ্বারা CO2, H2O এবং জৈবিক পদার্থে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা এবং ভালো গ্যাসের পরিস্থিতিতে এই ধরনের দূষণকারীর রূপান্তর হারকে বোঝায়। অণুজীব কার্যকরভাবে জৈব দূষণকারীকে শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট শর্তে (পুষ্টিগত অবস্থা, পরিবেশগত অবস্থা ইত্যাদি) পচাতে পারে। পুষ্টি এবং পরিবেশগত অবস্থার সঠিক পছন্দ জৈবিক পচনকে মসৃণভাবে এগিয়ে নিতে পারে। জৈবিক প্রক্রিয়াকরণ অধ্যয়নের মাধ্যমে, পিএইচ, তাপমাত্রা এবং কার্বন, নাইট্রোজেন এবং ফসফরাসের অনুপাতের মতো এই অবস্থার পরিসর নির্ধারণ করা সম্ভব।

জল সম্পদ পুনর্ব্যবহারের গবেষণায়, লোকেরা বিভিন্ন ন্যানো-মাইক্রন কণা দূষণকারী অপসারণের দিকে খুব মনোযোগ দেয়। পানিতে ন্যানো-মাইক্রন কণা দূষণকারী সূক্ষ্ম কণাগুলিকে বোঝায় যার আকার 1um এর কম। তাদের গঠন অত্যন্ত জটিল, যেমন বিভিন্ন সূক্ষ্ম কাদামাটি খনিজ, কৃত্রিম জৈব পদার্থ, হিউমাস, তেল এবং শেওলা পদার্থ ইত্যাদি। শক্তিশালী শোষণ শক্তির বাহক হিসাবে, সূক্ষ্ম কাদামাটি খনিজগুলি প্রায়শই বিষাক্ত ভারী ধাতু আয়ন, জৈব দূষণকারী, প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া এবং শুষে নেয়। পৃষ্ঠের অন্যান্য দূষণকারী। প্রাকৃতিক জলের হিউমাস এবং শৈবাল পদার্থগুলি জল বিশুদ্ধকরণ চিকিত্সায় ক্লোরিন নির্বীজন প্রক্রিয়ায় ক্লোরিন সহ ক্লোরিনযুক্ত হাইড্রোকার্বন কার্সিনোজেন তৈরি করতে পারে। এই ন্যানো-মাইক্রোন কণা দূষণকারীর অস্তিত্ব শুধুমাত্র মানুষের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি বা সম্ভাব্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না, তবে জলের গুণমান পরিস্থিতিকে গুরুতরভাবে অবনতি করে এবং জল চিকিত্সার অসুবিধা বাড়ায়, যেমন শহুরে বর্জ্য জলের প্রচলিত চিকিত্সা প্রক্রিয়ায়। ফলস্বরূপ, অবক্ষেপণ ট্যাঙ্কের ফ্লোক উপরের দিকে ভাসতে থাকে এবং ফিল্টার ট্যাঙ্কটি প্রবেশ করা সহজ হয়, যার ফলে বর্জ্যের গুণমান হ্রাস পায় এবং পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। প্রথাগত প্রচলিত চিকিৎসা প্রযুক্তি পানিতে এই ন্যানো-মাইক্রন দূষণকারীকে কার্যকরভাবে অপসারণ করতে পারে না এবং কিছু উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি যেমন আল্ট্রাফিল্টেশন মেমব্রেন এবং রিভার্স অসমোসিস উচ্চ বিনিয়োগ এবং খরচের কারণে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা কঠিন। তাই, নতুন, দক্ষ ও অর্থনৈতিক পানি শোধনা প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়ন জরুরি।